নাসিরনগরে জ্বর শ্বাসকষ্টে প্রবাসীর মৃত্যু, নিজের ও শ্বশুরবাড়ি লকডাউন।। জানাজা শেষে দাফন

87

আকতার হোসেন ভুইয়া, নাসিরনগর: নাসিরনগর উপজেলায় শ্বাসকষ্টে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৭এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার জেঠাগ্রামে শ্বশুরবাড়িতে তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি একই উপজেলার পূর্বভাগ গ্রামে। করোনা-ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় আইইডিসিআরের নিয়ম মেনেই মরদেহটি দাফন করা হয়েছে। এই ঘটনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ওই প্রবাসীর নিজের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৫ বছর বয়সী ওই প্রবাসী গত ১৮ মার্চ মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেন। এরপর নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনায় ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন তিনি। তবে কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালে তার শারীরিক কোনো সমস্যা হয়নি। পরবর্তীতে ৪ এপ্রিল তিনি কিছুটা অসুস্থ্যতা বোধ করলে তার শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানো হয়। পরীক্ষায় তার টাইফয়েড ধরা পড়ে, তবে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ ছিলনা। এরপর মঙ্গলবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে শ্বাস কষ্ট দেখা দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায় জানান, করোনার উপসর্গ (জ্বর,কাশি-শ্বাসকষ্ট) নিয়ে তিনি মারা গেছেন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে জানা যাবে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কী-না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা আশরাফী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাৎক্ষণিকভাবে ওই প্রবাসীর নিজের বাড়ি মুকবলপুর ও শ্বশুরবাড়ি জেঠাগ্রাম ১৪ দিনের জন্য লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার ভোর রাতে মকবুলপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে করোনা-ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় আইইডিসিআরের নিয়ম মেনেই মরদেহটি দাফন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের গেইটে অনুষ্ঠিত তার নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন উপজেলা কমপ্লেক্স মসজিদের খতিব মুফতি মুখলেছুর রহমান। এ সময় হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দ, পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে পাচঁজনের নমুনা সংগ্রহ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ওই ৫জন সন্দেহভাজন উপজেলার সদর, ভলাকুট ও চাতলপাড় ইউনিয়নের বাসিন্দা। মেডিকেল টিম তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেছে। পরীক্ষার রির্পোট না আসা পর্যন্ত তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,করোনা আক্রান্ত সন্দেহ করা একজন প্রায় ১মাস আগে ভারত থেকে বাড়ি ফেরেন। আরেকজন ভৈরব ইটখলায় কাজ করেন । তাই তিনিসহ তার স্ত্রী ও এক সন্তানের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন