আশুগঞ্জ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ৯ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাহমুদ জানান, রাতে হঠাৎ ধর্ষণের শিকার ওই শিশুকে নিয়ে তার বাবা-মা থানায় আসে। এ সময় শিশুর অবস্থা গুরুতর দেখে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা আশুগঞ্জের সোনারামপুরের জোহরা অটোরাইস মিলে চাতাল শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। পাশেই সোনারামপুরের আবাবিল অটোরাইস মিলে চাতাল শ্রমিক হিসেবে কাজ করে লিটন নামে এক ব্যক্তি। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর বাবা ও লিটন পূর্বপরিচিত। লিটন অবসর সময়ে একটি অটোরিকশা চালাত। কিছুদিন আগে অটোরিকশাটি ধরে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সোনারামপুরের জোহরা অটোরাইস মিলের পাশে একটি নির্জন স্থানে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে লিটন।
এরপর শিশুটি বাড়িতে ফিরে এসে বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক শিশুটিকে নিয়ে থানায় আসে তার বাবা-মা। ধর্ষক লিটন ওই সময় থানায় অটোরিকশাটি ফিরিয়ে নিতে গেলে শিশুটি লিটনকে দেখে চিনে ফেলে এবং পুলিশকে তা জানায়।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ লিটনকে আটক করে এবং শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠায়।
ধর্ষক লিটন কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামের ইমান আলী মিয়ার ছেলে। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষক লিটনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।
আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাব