নবীনগর: করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার যেখানে সারা বিশ্ব আজ হিমশীম সেখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে বিবাদমান দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের একজনের পা কেটে হাতে নিয়ে অন্য পক্ষের লোকজনদেরকে উল্লাস ও ‘আনন্দ মিছিল’ ও মুখে জয় বাংলা জয়ধ্বনির উচ্ছাসে উল্লসিত এক পক্ষ। যা পৃথিবীর ইতিহাসে নজির হয়ে থাকবে।
রবিবার (১২এপ্রিল) সকালে থানাকান্দি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজে একদল মানুষকে পশুর মতো হিংস্র আচরণ করতে দেখা গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২২ জন দাঙ্গাবাজকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে আবারও সংঘর্ষের আশংকায় এলাকায় বর্তমানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও এলাকার সর্দার আবু কাউছার মোল্লার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। ইতিমধ্যে এ দুই গ্রুপে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে বহু হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। থেমে থেমে চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজনের প্রায় অর্ধশত লোক আহত হন। এ সময় একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে কাউছার মোল্লার পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের পক্ষের মোবারক মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তির একটি পা কেটে হাতে নিয়ে গ্রামে উল্লাস করতে দেখা যায়।
নবীনগর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সঙ্গে থানাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা কাউসার মোল্লার বিরোধ দীর্ঘদিনের। এর জেরে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন দুপুরে “সংঘর্ষের পর ২২ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান। আরও ধরা হচ্ছে। পরবর্তী যেকোন ঘটনা এড়াতে এলাকায় বিপুল পুলিশ মোতায়েন আছে।”