আসাদুজ্জামান আসাদ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যপাড়ায় বাড়ির উঠানে এক কিশোরীর মরদেহ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৩ এপ্রিল) ভোরে মধ্যপাড়ার হুমায়ুন কবির স্কুলের পিছনে অরবিন্দ করের বাড়ির উঠানে এই লাশ পাওয়া গেছে। মৃতের নাম রূপা(১৫)। সে শহরের কাজীপাড়ার দরগা মহল্লার মোসলেম মিয়ার মেয়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, অরিবিন্দ কর এর বাড়ির উঠানের দেয়াল ঘেঁষে পড়ে আছে রুপার লাশ। গলায় রশি পেঁচানো, হাতে-পায়ে ও মাথায় অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে অরিবিন্দ কর বলেন, আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের প্রধান সহকারি। ঘরে আমার মা অসুস্থ। তাকে নিয়েই আমরা সারারাত ব্যস্ত ছিলাম। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে বাড়ির উঠানে কিছু একটা পড়ার শব্দ হয় কিন্তু অনেক রাত হওয়ায় আমরা আর বের হইনি। পরে ভোর বেলা আমরা বের হয়ে লাশ দেখতে পায়। সাথে সাথে আমরা জরুরি জাতীয় সেবা ৯৯৯ কল করে পুলিশে খবর দেেই।
সেখানে উপস্থিত রূপার বাবা-মা জানান, আমাদের বাড়ি কাজিপাড়া দরগাঁ মহল্লায়। আমার মেয়ে কিছুদিন আগে শারিরীকভাবে অসুস্থ ছিল। যেই বাড়িতে লাশ পাওয়া গেছে তার সামনের বাড়ির রানা নামক ব্যক্তির কাছে আমার মেয়ে ঔষধের জন্য প্রায় ই আসা যাওয়া করত।
গত রাত ১০:৩০ মিনিটে সে আমাদের মেয়েকে ফোনে ডেকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। রাতে বাসায় না ফিরায় আমরা চিন্তিত ছিলাম। সকাল বেলা লোক মারফতে খবর পেয়ে এখানে এসে আমার মেয়ের লাশ দেখতে পাই। সন্দেহভাজন আটক রানার দাদী জানান, আমরা এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আমার নাতি একটি প্রাইভেট ঔষধ কোম্পানিতে চাকুরী করে। এই মেয়েকে এর আগে আমরা কখনোই দেখি নাই। আমার নাতিকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন গলায় রশি পেঁচানো মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠাই। তিনি আরো জানান, মেয়েটির গলায় রশি পেঁচানো ছিল এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ তাকে হত্যা করে মরদেহ এখানে ফেলে রেখে গেছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।