স্টাফ রিপোর্টার:জয়বাংলা শ্লোগান কোন ব্যক্তি বা দলের নয়। এই শ্লোগান স্বাধীন বাংলার লাল-সবুজ পতাকার। এ শ্লোগান ১৯৭১ সালে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এ দেশ কে স্বাধীন করেছে সেই সকল মুক্তিযুদ্ধার। এ শ্লোগান ১৯৭১ সালে সম্ভ্রম হারা ৩০ লক্ষ মা-বোনের। পাকিস্তানের শৈরাচার শাসককে এ দেশ থেকে বিতারিত করতে জয়বাংলা শ্লোগান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শক্তি যুগিয়েছিল।
বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রসেনার সাবেক সফল সভাপতি যুবনেতা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম যত্রতত্র জয়বাংলা শ্লোগান বন্ধের দাবি জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন।
যুবনেতা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, যদিও এ দেশের কিছু মানুষ জয়বাংলা শ্লোগান মানেই আওয়ামীলীগ মনে করে। কিছু মানুষ ভাবছে এ শ্লোগানটি শুধু আওয়ামীলীগের জন্য প্রযোজ্য। তাদের এ ধারণা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার মতও না। জয়বাংলা শ্লোগানটি আজ যত্রতত্র যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এতে এদের ধারণাই সঠিক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
গত রবিবার (১২ এপ্রিল) নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামের দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে প্রতিপক্ষের পা কোটে প্রকাশ্য দিবালোকে কাটা পায়ের অংশ হাতে নিয়ে যেভাবে শ্লোগান দেওয়া হয়েছে তা দেখে যে কেউ এই শ্লোগানের বিরোধিতা করতে পারে। গত রবিবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কাটা পা হাতে নিয়ে জয়বাংলা শ্লোগানের মিছিল ভাইরাল হলে দেশের অনেক সচেতন নাগরিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এই শ্লোগানকে সন্ত্রাসী শ্লোগান বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, শুধু নবীনগর উপজেলায় নয়, দেশে অনেক স্থানে নিন্দনীয় ঘটনা ঘটানোর পরে দুষ্কৃতকারীরা ঘটনার স্থান জয়বাংলা শ্লোগান বলতে বলতে ত্যাগ করেছে এমন বহু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে রয়েছে। জয়বাংলা শ্লোগান কোন দল বা ব্যক্তির নয়। এ শ্লোগান কোন সন্ত্রাসীদের নয়। এই শ্লোগান স্বাধীন বাংলার ১৮ কোটি স্বাধীন জনতার। সন্ত্রাসীরা তাদের সন্ত্রাসী কাজ শেষে এ শ্লোগান ব্যবহার করতে পারেনা। তাছাড়া এ শ্লোগান ব্যবহার করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল আওয়ামীলীগসহ সরকারের কাঁধে চড়ে তাদের অপরাধ ঢাকার চেষ্টাও করছে।
যত্রতত্র এ শ্লোগান ব্যবহার বন্ধ করতে সরকার ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানান। কেউ যেন তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থের পরে এ শ্লোগান ব্যবহার করতে না পারে এ ব্যাপারে সরকারকে একটি নীতিমালা তৈরির জন্যও দাবি জানিয়েছেন। জয়বাংলা শ্লোগান যত্রতত্র ব্যবহার বন্ধ করা না হয় তবে সন্ত্রাসীরা এই পবিত্র শ্লোগানকে সন্ত্রাসীদের অপরাধ ঢাকার অস্ত্র হিসেবে এ শ্লোগানকে ব্যবহার করবে। তাই জয়বাংলা শ্লোগানের সম্মানার্থে নীতিমালার মাধ্যমে যত্রতত্র এই শ্লোগান ব্যবহার বন্ধ করতে হবে বলে তিনি জোর দাবি জানিয়েছেন।