আজ থেকে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু

171

“মাছ চাষে গড়বো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ“

“মৎস্য সেক্টরের সমৃদ্ধি, সুনীল অর্থনীতির অগ্রগতি“

এই স্লোগানকে সামনে রেখে ১৭ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই ২০১৯ সপ্তাহব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু হয়েছে।

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে প্রথম দিন সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ৭দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ব্যানার, প্লে-কার্ড, ফেস্টুন সহযোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালী। লোকনাথ দীঘিতে পোনা মাছ অবমুক্ত করা, আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, ফরমালিন বিরোধী অভিযান, মৎস্য সংরক্ষণ বিষয়ক আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ নানান কর্মসূচি।

“অদম্য অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ“ এই অগ্রযাত্রায় জাতীয় উন্নয়নে মৎস্য সেক্টরের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। মাননীনয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা গ্রহণের প্রাক্কালে ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে মাছের উৎপাদন ছিল ২৭.০১ লাখ মে. টন যা ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে ৪২.৭৭ লাখ মে.টন। অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশ ৩য় এবং মৎস্য চাষে বাংলাদেশের অবস্থান ৫ম স্থানে রয়েছে। “বাংলাদেশ মৎস্য খাত উন্নয়নের শক্ত ভিত“ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং বিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাও এ থেকে পিছিয়ে নেই। রাজস্ব কার্যক্রম ও প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ৪৫৯টি প্রদর্শনী, ৭বিল নার্সারি, ৭টি অভয়াশ্রম এবং  প্রাতিষ্ঠানিক ও মুক্ত জলাশয়ে ৩৪৭৫.৩৫ কেজি রুই জাতীয় পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। চাহিদা সম্পন্ন মাছ চাষের সম্প্রসারণ ঘটানোর জন্যও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিং, কৈ, পাবদা ও গুলশা মাছের প্রদর্শনী প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে চাহিদা অনুযায়ী ৫৩৯১৩ মে.টন চাহিদার বিপরীতে ৫৪১৬১ মে. টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। মোট উৎপাদন উদ্বৃত্ত রয়েছে ২৪৮ মে.টন মাছ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন