ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আখাউড়া স্থল বন্দরে করোনা ভাইরাস সনাক্তে মেডিকেল টিম সক্রিয়

167

স্টাফ রিপোর্টার : চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের ভয়ে বিশ্বের সকল দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তেমনি বাংলদেশেও করোনা ভাইরাস সনাক্তে দেশের বিভিন্ন স্থল বন্দরে বসানো হয়েছে মেডিকেল টিম। মেডিকেল টিমে রয়েছেন একজন মেডিকেল অফিসার, একজন সেবিকা, দুইজন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ও একজন মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট। মেডিকেল টিম দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। সকাল ৬:০০ থেকে দুপুর ১:০০ পর্যন্ত এক টিম এবং দুপুর ১:০০ থেকে সন্ধ্যা ৬:০০টা পর্যন্ত দ্বিতীয় টিম দায়িত্বে রয়েছেন। দুপুরের টিমে রয়েছে সেবিকা, কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার, (সিএইচসিপি) ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক। সোমবার সকালে আখাউড়া স্থল বন্দরে গিয়ে দেখা যায় সেখানে পাঁচজনের একটি মেডিকেল টিম বসে ভারত থেকে আগত সকল যাত্রীদের ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। আগত যাত্রীদের মধ্যে চীন সফরকারী রয়েছেন কি না তাও যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তেমনি ভারতের স্থল বন্দরেও মেডিকেল টিম রয়েছে।

আখাউড়া স্থল বন্ধর মেডিকেল টিম

ডা. ফারহানা আক্তার বলেন, আমরা গত জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ থেকে স্থল বন্দরে মেডিকেল টিম বসিয়েছি। ভারত থেকে আগত বাংলাদেশি, ভারতীয় সকল নাগরিকদেরই আমরা প্রাথমিক পরীক্ষা করে নিচ্ছি। তাদেরকে আমরা প্রাথমিকভাবে জ্বর সর্দি কাশিজনিত কোন রোগ হয়েছে কি না বা আছে কি না তা জানার জন্য চেষ্টা করি। তাদের মাঝে চীন ভ্রমণকারী এখনো পাইনি। তবে চীন এবং ভারতের কেরালা রাজ্যের কোন নাগরিক বা ভ্রমণকারী থাকলে তাদেরকে আমরা আলাদাভাবে রেখে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের আই সুলেশন সেন্টারে পাঠানোর নির্দেশ রয়েছে। ইমিগ্রেশন অফিসার মো. আবদুল হামিদ বলেন, করোনা ভাইরাসে স্থল বন্দরে আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। তবে সচেতনতা ও সতর্কতা রয়েছে। কাস্টমস অফিসার মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের পরিবহণ শ্রমিকরা পোর্টেই শুধু যায়, সেখানে তারা পরিবহণ বা মালামাল রেখেই চলে আসেন। তাদের সতর্কতা বা সাবধানতার জন্য কোন মাক্স ব্যবহার করানো হয়নি। তা তারা নিজ থেকেই করা প্রয়োজন।

ভারতীয় মেডিকেল টিম
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন মো. শাহ আলম  নারীশিশু.কম’কে জানান, আমরা শুধু চীন ফেরত বা ভ্রমণকারীদেরই সনাক্ত করছি। সেখানে শ্রমিকদের ত্রিপুরা স্থল বন্দরে যাতায়াতে কোন ধরা বাঁধা নেই। আশুগঞ্জ উপজেলার আশুগঞ্জ তাপবিদুৎ কেন্দ্রে অবস্থান করা ৩০০ চীনা নাগরিক কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক ঝুঁকি রয়েছেন কি না তা জানতে চাইলে তিনি বলেন এ পর্যন্ত আমরা সেখানে কোন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করতে পারিনি। তারা সকলেই ভাল আছেন। কোন সন্দেহ হলে তাকে ঢাকার আইইসিডিআর কেন্দ্রে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য ১৪দিন রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা কোন করোনা ভাইরাস সনাক্ত করতে পারিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন