স্টাফ রিপোর্টার : নাতির জন্য বিস্কুট পেয়ে রাজ্যের হাসি হাসলেন স্টেশনে ভাত বিক্রেতা রমজান মিয়া (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে আয় নেই বলে ঘরে রান্না হয় না ঠিক মতো। ‘আমরা ৯৫’ এর দেয়া কার্ডে পেয়ে সদাই করলেন তিনি। নাতির জন্য বিস্কুট কিনে একগাল হাসি হেসে নিলেন। সড়ক বাজারে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘আমার পুত (ছেলে) মারা গেছে। নাতিডারে আমিঅই দেহি। কেউ ত আর নাতির লাইগ্যা কিছু দিত না। এর লাইগ্যা দুই প্যাকেট বিস্কুট লইয়া লইলাম।’
আখাউড়ায় ১৯৯৫ সালে এস.এস.সি পরীক্ষা দেয়া শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রম উদ্যোগ শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। করোনার কারণে আয় বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘আমরা ৯৫’ সংগঠনটি। অসহায় মানুষকে নিজের পছন্দমতো ৫০০ টাকার পণ্য কেনার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
আখাউড়ার ইউএনও তাহমিনা আক্তার রেইনা এ কার্যক্রম পরিদর্শন করে প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি একজনকে মাস্ক উপহার দেন। কার্ডধারী একজনের ছবি তোলার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
এ বিষয়ে কথা হলে মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, এমন একটি মহৎ কাজ প্রশংসা পাওয়ার মত। “আমরা ৯৫ এসএসসি ব্যাচের সকল বন্ধুরা যে উদ্যোগ নিয়ে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি তাদের এ কার্যক্রমের সফলতা কামনা করি। পাশাপাশি তাদের মত সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরাও যেন অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়। তাহলে সমাজের অসহায় মানুষরা দু’বেলা দুমোঠ ভাত খেতে পারবে।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, “আমরা ৯৫ ব্যাচ” নামক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পেরে গর্ববোধ করছি। আপাতত ২৫০-৩০০ পরিবারকে এভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। উপকারভোগীরা কার্ড নিয়ে নির্ধারিত দোকান থেকে পণ্য কিনছেন।